- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের অন্তত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৩০ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হলো—
১. আলকেমিক্যাল সল্যুশনস প্রাইভেট লিমিটেড
২. গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড
৩. জুপিটার ডাইকেম প্রাইভেট লিমিটেড
৪. রমনিকলাল এস. গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি
৫. পার্সিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড
৬. কঞ্চন পলিমার্স
এর মধ্যে আলকেমিক্যাল সল্যুশনস প্রাইভেট লিমিটেড এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অঙ্কের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানি করেছে।
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য কিনেছে, জুপিটার ডাইকেম প্রাইভেট লিমিটেড কিনেছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারের টলুইনসহ অন্যান্য সামগ্রী, রমনিকলাল এস. গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি কিনেছে ২ কোটি ২০ লাখ ডলারের পেট্রোকেমিক্যাল, পার্সিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড এর আমদানির পরিমাণ ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং কঞ্চন পলিমার্স এর বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩ লাখ ডলারের পলিথিন আমদানির অভিযোগ।
মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইরান এসব রপ্তানি থেকে যে আয় পায় তা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কাজে ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তায় ব্যয় করে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। নিষেধাজ্ঞায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের স্পেশালি ডেজিগনেটেড ন্যাশনালস (SDN) তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
এছাড়া একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুরস্ক, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও আরোপ করা হয়েছে।