Tuesday, October 14, 2025

ট্যাংকারের গতি রুখছে ইরান: পার্লামেন্টের অনুমোদনে হরমুজে উত্তেজনা


ইরানে মার্কিন সামরিক হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত কৌশলগত তেল পরিবহন পথ হরমুজ প্রণালীকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন সংকট। এরই মধ্যে ইরানের পার্লামেন্ট এই প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল আকারের দুটি তেলবাহী জাহাজ হরমুজে প্রবেশের পর ইউটার্ন করে ফিরে গেছে বলে মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে।


ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'কোসইউসডম লেক' ও 'সাউথ লয়্যালটি' নামের দুটি ট্যাংকার প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বহন করতে সক্ষম। গত রবিবার (২২ জুন) স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, জাহাজ দুটি হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করলেও কিছুক্ষণ পরই দিক পরিবর্তন করে একটি নিরাপদ রুটে চলে যায়।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনা আন্তর্জাতিক তেলবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি খাতকে পরিবহনের বিকল্প রুট নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে।


এদিকে, ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে যে দেশটির পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে বলেন, "আমি বেইজিংয়ের চীন সরকারকে অনুরোধ করব—তারা যেন ইরানকে ফোন করে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। কারণ, চীন এই প্রণালী ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করে।"

রুবিও আরও বলেন, "যদি ইরান সত্যিই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তাহলে সেটা হবে একটি ভয়াবহ ভুল। এটি ইরানের অর্থনৈতিক আত্মহননের শামিল হবে।"



বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবাহিত হয়। এই পথ বন্ধ হয়ে গেলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। জ্বালানির দাম আকাশচুম্বীভাবে বেড়ে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে চীন, ভারত, জাপানসহ বড় আমদানিকারক দেশগুলোতে।


ইরানি জাহাজ, ছবিঃদৈনিক ইত্তেফাক 

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন