তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়কে স্বাগত জানাল এনসিপি

PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে দলটির দাবি, রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন কোন মডেল অনুসারে হবে—ত্রয়োদশ সংশোধনীর ধারা অনুযায়ী, নাকি জুলাই সনদের নির্দেশনা অনুযায়ী—সে বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার না করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন এ প্রতিক্রিয়া জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক ব্যস্থাকে বাতিল করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচন পরিচালনা করেছিল হাসিনা সরকার। এতে দেশে ফ্যাসিবাদের দ্বার উন্মুক্ত হয়।” তিনি দাবি করেন, তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহালের রায়ের মাধ্যমে অতীতের ‘কলঙ্কজনক’ সিদ্ধান্ত থেকে বিচার বিভাগ ও জাতি মুক্তি পেল।

এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, “রায়ের পর এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক কি আগের মতো বিচার বিভাগীয় কাঠামো অনুসরণ করবে, নাকি জুলাই সনদের আলোকেই গঠিত হবে? এই অস্পষ্টতা সরকারের পক্ষ থেকে দূর করা হয়নি।” তিনি উল্লেখ করেন, আদালতের পরামর্শ ছাড়াই বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল ত্রয়োদশ সংশোধনীর মডেল দেশকে পূর্বে সংকটে ফেলেছিল, এমনকি এক–এগারোর মতো পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল। তার ভাষায়— “জুলাই সনদই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সবচেয়ে উপযোগী পথ। সনদের ব্যত্যয় করার কোনো সুযোগ নেই।”

আখতার হোসেন বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জুলাই সনদের নির্দেশনা অনুযায়ী গঠিত হবে। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ত্রয়োদশ সংশোধনীর কাঠামোয় ফিরে যাওয়ার কথা বলছে।

তিনি আরও যোগ করেন, “ঐকমত্য কমিশনে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। এখন সেই ঐকমত্যে কোনো অস্পষ্টতা যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।