- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
থাইল্যান্ডে ১৯ দিনের মিস ইউনিভার্স মিশন শেষে দেশে ফিরেছেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫ অংশ গ্রহনকারী তানজিয়া জামান মিথিলা। তিনি দেশে ফেরার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন এবং দেশের মানুষ ও বিনোদন অঙ্গনের যারা তাকে সমর্থন ও ভালোবাসা দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তানজিয়া জামান মিথিলা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে তিনি থাইল্যান্ড যান এবং ২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্প রাউন্ড–এ অংশ নেন। মুকুট জেতা সম্ভব না হলেও সেরা ৩০ প্রতিযোগীর মধ্যে স্থান করে নেওয়ায় সন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। ক্লোজডোর ভোটিংয়ে তিনি ৯.৬৪০ নম্বর পেয়েছেন, যা মুকুটজয়ী মিস মেক্সিক ফাতিমার ৮.৯৭৫৫ নম্বরের চেয়ে বেশি।
মিথিলা বলেন, “প্রথম লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা। বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছি। এই পথচলায় সবাই যে বিশ্বাস, ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তাতে আমি অভিভূত।”
বিমানবন্দরে তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশের হয়ে যতটা সম্ভব অবস্থান দেখানোর চেষ্টা করেছি। এটা উপলব্ধি করেছি, এই ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রতিযোগীদের জন্য পথচলা সহজ হয়।”
তানজিয়া জানান, এবারের মিস ইউনিভার্সে ১২১ দেশের প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “ভোট দেওয়া মানে শুধু আমাকে নয়, বাংলাদেশকেই ভোট দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেকে নয়, দেশকে উপস্থাপন করেছি।”
পিপলস চয়েসে তিনি প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭২, যা তার জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
মিথিলা প্রতিযোগিতার সময় বিকিনিতে অংশ নেওয়ার কারণে কিছু সমালোচনার মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “ক্লোজডোর ইন্টারভিউ, ইভিনিং গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম ও সুইমস্যুট–ওয়্যার এই চারটি ক্ষেত্রে নম্বর দেওয়া হয়। এগুলো ঠিকমতো না করলে সেরা ৩০–এ থাকা সম্ভব হতো না। আমি কোনোভাবে আমার দেশকে ছোট করিনি।”
প্রতিযোগিতা শেষে মেক্সিকোর ফাতিমা বশ মুকুটজয়ী হন। মুকুট পরান গত বছরের বিজয়ী ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কেজার থেলভিগ। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফল ঘোষণার তিন দিন আগে দুই বিচারক পদত্যাগ করেন, একজন অভিযোগ করেন নির্বাচন প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ, যা নিয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানজুড়ে উত্তেজনা ও আলোচনার সৃষ্টি হয়।