- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সরকারের কাছে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে টানা পঞ্চম দিনের মতো চলা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এই আলটিমেটাম দেন তারা। দাবি আদায় না হলে রোববার (২২ জুন) থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, যেগুলোর মূল সুর ছিল ‘কালো আইন মানি না’, ‘চাকরিচ্যুতির ছলচাতুরী চলবে না’ ইত্যাদি।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কো–চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবির, মো. নুরুল ইসলাম, কো–মহাসচিব নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
নেতারা বলেন, “এই অধ্যাদেশটি গণতান্ত্রিক চাকরি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। এটি বহাল থাকলে প্রশাসন ভয় ও অনিশ্চয়তার জালে বন্দী হয়ে পড়বে। কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েই যেকোনো কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার সুযোগ রেখে সরকার যে ধারা সংযোজন করেছে, তা অসাংবিধানিক, অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী।”
প্রসঙ্গত, ২৫ মে জারি করা এই অধ্যাদেশে বলা হয়—চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের ক্ষেত্রে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই কেবল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েই সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে। এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এর খসড়া অনুমোদন পায়।
ঈদের ছুটি শেষে ১৭ জুন থেকে পুনরায় আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো কর্মসূচি পালিত হলো। তারা একে 'নিবর্তনমূলক আইন' আখ্যা দিয়ে সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ফোরামের নেতারা জানিয়েছেন, সরকার যদি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অধ্যাদেশটি বাতিল না করে, তাহলে কর্মসূচি আরও কঠোর হবে এবং সচিবালয়সহ দেশের অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যালয়েও আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। ছবি : যুগান্তর