- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ‘গোপন বৈঠকের’ সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সুমাইয়া জাফরিনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায়। শুনানিতে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিলের আবেদন করলেও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সুমাইয়া জাফরিন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশে একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত গোপন বৈঠকের সংগঠক হিসেবে তাঁর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে গতকাল বুধবার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, "বিভিন্ন সূত্রে সুমাইয়া জাফরিনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।"
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট হিসেবে পুলিশ জানায়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই বৈঠকে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ৩০০-৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র এবং ঢাকায় বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় মেজর সাদিকুল হককেও অভিযুক্ত করা হয় এবং বর্তমানে তিনি সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।