Tuesday, October 14, 2025

শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত জনবসতি এলাকা এড়াতে চেষ্টা করেন পাইলট তৌকির: আইএসপিআর


ফাইল ছবিঃ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম(সংগৃহীত)

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান আজ (সোমবার) প্রশিক্ষণকালে বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৬৪ জন। দুর্ঘটনার ঘটনায় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

বার্তায় জানানো হয়, ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে বিমানটি উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। পাইলট মো. তৌকির ইসলাম দুর্ঘটনার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত ঢাকার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দোতলা ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও অন্যান্য নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার এবং অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।

আইএসপিআর দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, এই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ পূর্ণ সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে। বিমান বাহিনী প্রধান সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায়, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করছেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

অপরদিকে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ে বিমান বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে আইএসপিআর জানায়। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।


Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন