- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং অন্যান্য মাদকদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিয়মিত অভিযান ও বিজিবির তৎপর নজরদারি থাকা সত্ত্বেও সীমান্ত পার হয়ে প্রবেশ করছে বিপুল পরিমাণ মাদক। গত এক বছরে বিজিবি একাই সীমান্ত এলাকায় ১ হাজার ৩২১ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ১১৬ টাকার মাদক জব্দ করেছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৮৪ কিলোমিটার জলসীমা। এই দুর্গম অঞ্চলের মাধ্যমে ইয়াবা, আইস, অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার করা হচ্ছে। মাদকচক্রের অংশ হিসেবে নারী ও তরুণদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ২৮ জুলাই রামুর গোয়ালিয়া চেকপোস্টে বিজিবি ১০ হাজার ২০০টি ইয়াবা জব্দ করে একজন রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে ২০ জুলাই টেকনাফে ১ কেজি আইস ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত এক বছরের জব্দকৃত মাদক ধ্বংসের লক্ষ্যে বুধবার দুপুরে বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে বুলডোজারের মাধ্যমে ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ২ কোটি ৩৩ হাজার ৯৪৯টি ইয়াবা, ১৪০ কেজি আইস, ২৬ কেজি হেরোইন, ৫২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা, ৪ কেজি ৪০৫ গ্রাম কোকেন, বিদেশি ও বাংলা মদ, ফেনসিডিল, জর্দা, বিয়ার ক্যান ও কমান্ডো এনার্জি ড্রিংকসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য।
বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আকসার খান বলেন, “বিজিবি সীমান্ত রক্ষা ও মাদক নির্মূল কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকলেও, চোরাচালান বন্ধ করতে হলে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সমাজের সমন্বয় প্রয়োজন। মাদক প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই কার্যকর উপায়।”
সীমান্ত এলাকার মাদক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য শুধু অভিযানের ওপর নির্ভর না করে, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে।