- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | চট্টগ্রাম:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, শাপলা প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে সে বিষয়টি এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি) ভালোভাবেই বোঝে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দলটি গণতন্ত্রের পথে কোনো বাধা সৃষ্টি না করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলবে।
রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে সহযোগিতা করবে। তাদের নেতারা ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানকালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিলেন। তাই আমি নিশ্চিত, তারা এবারও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় অবদান রাখবেন।”
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রতীকের তালিকার বাইরে কোনো প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয়। শাপলা প্রতীক তালিকায় না থাকায় সেটি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত আমরা তালিকার বাইরে কোনো দলকে প্রতীক দিইনি।”
তবে নতুন প্রতীক তালিকায় যুক্ত করার বিষয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে ভবিষ্যতে প্রতীক তালিকা পর্যালোচনা করা যেতে পারে, এতে কোনো অসুবিধা নেই।”
নির্বাচনকালীন সময়ের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ—এবার কোনো গোপন ভোট বা রাতের আঁধারে নির্বাচন হবে না। সবকিছুই হবে স্বচ্ছ ও প্রকাশ্যভাবে।”
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি আহ্বান জানান, “নির্বাচনকালে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো সংবাদ প্রচার করবেন না। তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনই নির্বাচনকে সুষ্ঠু রাখতে সাহায্য করবে।”
সিইসি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেই লক্ষ্য অর্জনে সব পক্ষের সহযোগিতা অপরিহার্য।”