- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণাকে ঘিরে যে কোনো অস্থিতিশীলতা বা নাশকতা রোধে ঢাকার প্রবেশমুখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকেই ঢাকা-মাওয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিমতলা, কুচিয়ামোড়া, হাসাড়া ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা টিম চেকপোস্ট বসিয়েছে। প্রবেশমুখ, টোলপ্লাজা ও সার্ভিস লেনে থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র যাচাইসহ যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে। সন্দেহজনক চলাচল দেখলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠী নাশকতার চেষ্টা চালাতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। মহাসড়কজুড়ে দৃশ্যমান টহল বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি ড্রোন নজরদারিও চলছে।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর বলেন, “এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার প্রধান সড়ক। এখানে সামান্য ঘটনাও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে। তাই আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছি।”
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অঘটন বা নিরাপত্তা বিঘ্নের তথ্য পাওয়া যায়নি। রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত বাড়তি নিরাপত্তা বলবৎ থাকবে, প্রয়োজন হলে সময় আরও বাড়ানো হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধারণা করছেন, কঠোর নজরদারির কারণে নাশকতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে এসেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা চূড়ান্ত সতর্ক অবস্থায় থাকবে।