- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শুক্রবার ভোরে রাশিয়া ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার ফলে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে এবং অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, হামলার লক্ষ্য ছিল কিয়েভের আশপাশের বিদ্যুৎ অবকাঠামো। একটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায় এবং ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ শহরের একাধিক স্থানে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “রাশিয়া আমাদের রেলপথ ও জ্বালানি স্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জনগণের ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগের জন্য।”
এর পাশাপাশি, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে রাশিয়ান বাহিনীর ড্রোন হামলায় বৃহস্পতিবার এক সাত বছরের শিশু নিহত ও অন্তত তিনজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর।
ডনবাস অঞ্চলের ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহরের স্থানীয় প্রশাসন শিশুদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক দিনে ড্রোন হামলার সংখ্যা সেখানে বেড়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ অঞ্চলে কয়েকটি জ্বালানি স্থাপনায় আগুন ধরে যায়, ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে দ্য মস্কো টাইমস জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের দপ্তরের প্রধান এবং জ্যেষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং নিষেধাজ্ঞা নীতির বিষয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বীকার করেছেন, গত বছর দুইটি রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়েছিল, এতে ৩৮ জন নিহত হন।
একই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বরের এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল এর মধ্যে খারাপ আবহাওয়া ও ইউক্রেনীয় ড্রোন লক্ষ্য করে রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভুল সক্রিয় হওয়াও ছিল একটি সম্ভাবনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্র ফিনল্যান্ডকে রক্ষা করবে যদি রাশিয়া কখনও আক্রমণ করে, যদিও তিনি যোগ করেন, “আমি মনে করি না পুতিন এমনটা করবেন।”
যুক্তরাষ্ট্র সার্বিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ন্যাফ্টনা ইন্ডাস্ট্রিয়া সার্বিজে (NIS)-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা আংশিকভাবে রাশিয়ার মালিকানাধীন। কোম্পানিটি সার্বিয়ার একমাত্র তেল শোধনাগার পরিচালনা করে।
প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচ সতর্ক করেছেন, “এই নিষেধাজ্ঞার মারাত্মক প্রভাব পড়বে, যা প্রতিটি নাগরিকের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”