- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, মস্কোর সামরিক পদক্ষেপ আসলে দীর্ঘদিনের পশ্চিমা উসকানিরই প্রতিক্রিয়া।
সোমবার (তিয়ানজিন, চীন) অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন বলেন, ন্যাটোর কার্যকলাপ গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে নষ্ট করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই সংকট রাশিয়ার আক্রমণের কারণে শুরু হয়নি, বরং পশ্চিমা সমর্থিত কিয়েভ অভ্যুত্থানের ফলেই এর সূত্রপাত।”
২০১৩–১৪ সালের ইউরোপপন্থি আন্দোলনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে এবং পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা দেয়। এর পর থেকে ইউক্রেনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে হাজারো মানুষ প্রাণ হারায়। ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসনের পর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কড়া নিষেধাজ্ঞা মস্কোকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তোলে।
পুতিন বলেন, পশ্চিমাদের ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ছিল যুদ্ধের অন্যতম মূল কারণ। তাঁর মতে, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন সংকটের মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে।
তিনি জানান, সম্প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক “শান্তির পথে নতুন দ্বার খুলতে পারে।” একইসঙ্গে তিনি বেইজিং ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে দুই দেশের আলোচনা আরও বিস্তৃত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।