- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে চলমান বিতর্ককে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর মতে, গণতন্ত্রে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক হলেও তা যখন বিভ্রান্তি ও উগ্রপন্থার দিকে ধাবিত হয়, তখন তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সামাজিক সুরক্ষা কতটা সুরক্ষিত?’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচির আয়োজন করে অর্পণ আলোক সংঘ, যা বিএনপির ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের সংগঠন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি আশাবাদী থাকতে চাই, তবে বাস্তবতা প্রায়ই হতাশ করে। আমরা একটি প্রগতিশীল সমাজ চাই, যেখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বৈষম্য হ্রাস পাবে। কিন্তু এখন উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, চিন্তাকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে—যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।”
তিনি আরও বলেন, সামাজিক সুরক্ষা শুধু ভাতা কিংবা ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে সম্ভব নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও কৃষিসহ সব খাত রাষ্ট্রকাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই সংস্কার ছাড়া কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরের শাসনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে এবং দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। তাঁর ভাষায়, “দেড় বছরে এই ক্ষতি পূরণ সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কার্যত সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে ঘুষের সংস্কৃতি প্রোথিত হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, শিক্ষক ও নার্স নিয়োগ থেকে শুরু করে ছোটখাটো প্রশাসনিক কাজও এখন ঘুষ ছাড়া সম্পন্ন হয় না, যা সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলছে।
আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান, অর্থনীতিবিদ এম মাসরুর রিয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এবং সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু।