Friday, December 5, 2025

রাজশাহীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় যাত্রীর মৃত্যু


ছবি: নিহত আলাউদ্দিন আলী টগরক (৩৫)। (সংগৃহীত)

PNN নিউজ ডেস্ক। রাজশাহী

রাজশাহীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আলাউদ্দিন আলী টগর (৩৫) নামের এক যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সিট নিয়ে চালক ও হেলপারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত টগর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কুলপাড়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বোন রুমি খাতুনকে নিয়ে গোদাগাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিলি হল মোড়ের কাছে অপেক্ষা করছিলেন টগর। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ গামী একটি লোকাল বাস থামলে সুপারভাইজারের আশ্বাসে তারা বাসে ওঠেন। সিট আছে বলা হলেও বাসে উঠে দেখা যায় গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে বহু যাত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে টগর বিষয়টি নিয়ে সুপারভাইজারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

সিট না থাকার বিষয়টি জানার পর টগর ও তার বোনকে নামতে বলা হলেও চালক বাস থামাননি। বরং দ্রুতগতিতে বাস চালাতে থাকেন। একপর্যায়ে টগর বাসের দরজার দিকে এগিয়ে এসে চালককে থামানোর অনুরোধ করেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় হেলপার ও সুপারভাইজার তাকে জোর করে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

টগরের বড় ভাই দুলাল হোসেন জানান, বোনকে শশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েই সর্বনাশ ডেকে আনলেন তার ভাই। “চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে,” দাবি করে তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে টগরের লাশ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে সোমবার রাতে দুলাল হোসেন বাদী হয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি আজিজুল বারী জানান, ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট বাসটি জব্দ করেছে। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন