- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে আজ সোমবার সকালে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন (৫৫) গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামুন দুই দিন ধরে বাড্ডার একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন। আজ সকালে একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য তিনি বাসা থেকে বের হন। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মামুন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু দুই দূরত্ব থেকে তিন থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলি করার পর দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার জানিয়েছেন, তারা ধারণা করছেন, এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের অনুসারীরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। এর আগে ইমনের লোকজনও মামুনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
পুলিশ জানায়, মামুন ও ইমন এক সময় রাজধানীর হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন। তাঁরা নিজেদের বাহিনী ‘ইমন-মামুন’ নামে পরিচিত করতেন। মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপুর হত্যার মামলার আসামি ছিলেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে এবং জন্ম ১৯৭০ সালে।
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াসিন জানান, গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের স্বজনদের আহাজারি লক্ষ্য করা গেছে। হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ মর্গে রাখা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুটি মোটরসাইকেলে সপরিবারে অবস্থান করা দুজন ব্যক্তি পেছন থেকে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে এবং হত্যার পেছনের কারণ ও আসামিদের সনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।