- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
শিহাব মইন, খুলনা প্রতিনিধি: `খুলনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এসআই সুকান্ত দাসকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তীব্র ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তর ঘেরাও করে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। একই সাথে মূল ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করায় রূপসা থেকে শহরে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বিকাল থেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রজনতার বিক্ষোভ চলছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় আন্দোলনকারীরা কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে এসআই সুকান্ত দাসকে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সুকান্ত দাস বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত। তিনি একটি মামলার সাক্ষী দিতে খুলনায় এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় গত ১২ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যা বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়াও, বিএনপির নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাংচুরসহ তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলমান রয়েছে।
খানজাহান আলী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবীর হোসেন জানান, গতকাল এসআই সুকান্ত আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বাইকে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। শিরোমণি এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করার পর তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। ওসি আরও জানান, খানজাহান আলী থানায় সুকান্ত দাসের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।