- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধের কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটিয়া বাইপাস এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পটিয়া থানার সামনেও মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের দুই দফা সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে নয়টায় তারা পটিয়া থানা ঘেরাও করেন। সেখান থেকেই সড়ক অবরোধ শুরু হয়। অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওই এলাকায় সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, 'চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা' ব্যানারে এই অবরোধ চলছে। পটিয়া মডেল মসজিদ সংলগ্ন মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তাঁদের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর এবং উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদূর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা এই দুই কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন।
অবরোধের কারণে পটিয়া বাইপাস মোড় থেকে ইন্দ্রপুল কাজীরপাড়া এলাকা পর্যন্ত সড়ক অনেকটাই অচল হয়ে পড়ে। তবে, আন্দোলনকারীরা পরীক্ষার্থী ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন। অবরোধ চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
অবরোধের কারণে পথচারী ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, যান চলাচল করতে না পারায় অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। মো. আবুল কালাম নামের এক বাসচালকের সঙ্গে কথা হয়, যিনি প্রথম আলোকে জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তিনি আটকে রয়েছেন। তাঁর বাসে ৩৫ থেকে ৪০ জন যাত্রী রয়েছেন এবং অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম পৌঁছানো নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।