- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও অ্যাক্সেসরিজ রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে, তিনি পাকিস্তানকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ঝুট (টেক্সটাইল বর্জ্য) আমদানি করে তাদের ক্রমবর্ধমান রিসাইক্লিং শিল্পের চাহিদা পূরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
গত রবিবার ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পাকিস্তান হাইকমিশনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ওয়াসিফ বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে মাহমুদ হাসান খান এই পরামর্শ দেন। এ সময় হাইকমিশনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অ্যাটাশে জাইন আজিজ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম এবং পরিচালক ফাহিমা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারকরণ ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করে। বিশেষ করে, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্র নিয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
আলোচনায় টেক্সটাইল উৎপাদনে পাকিস্তানের শক্তিশালী বৈশ্বিক অবস্থান এবং পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অবস্থানের বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে পাকিস্তান থেকে টেক্সটাইল আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে তৈরি পোশাক ও অ্যাক্সেসরিজ রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পোশাক অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা অর্জন করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান উল্লেখ করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পোশাক শিল্পের ঝুট আমদানি করে তাদের ক্রমবর্ধমান রিসাইকেল শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম পাট উৎপাদনকারী দেশ এবং পাকিস্তানে বাংলাদেশের পাট তন্তুর উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। পাকিস্তান যদি পাট তন্তু আমদানি করে, তবে তা উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।