Tuesday, October 14, 2025

নজরুল ইসলামের আক্ষেপ: বারবার কেন পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ?


ছবিঃ নজরুল ইসলাম (সংগৃহীত । খবরের কাগজ )

বাংলাদেশের মানুষ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সবকিছুতেই বহু জীবন দিয়েছে। এত ত্যাগের পরও কেন এখনও অসংগতি নিয়ে আলোচনা করতে হয়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

আজ (শনিবার) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) 'সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়?' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এই সেমিনারে নজরুল ইসলাম খান আক্ষেপ করে বলেন, "আর কত জীবন দেবে ও লড়াই করবে এদেশের মানুষ?" তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির সঙ্গে 'সাপ-লুডুর' খেলার তুলনা করে বলেন, "আমরা বারবার যেন সাপ-লুডুর মত অনেকদূর আগে যাই আবার সাপে কেটে নিচে চলে আসি, আবার আগানোর চেষ্টা করি, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।"

তিনি দেশের শ্রম আইন নিয়েও কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান জানান, শ্রম আইনে প্রতিটি শ্রমিককে নিয়োগপত্র দেওয়ার বিধান থাকলেও, দেশের মাত্র ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিক তা পান। ফলে তাদের গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়, যা শ্রম আইনের পরিপন্থী।

বিএনপির এই নেতা দেশের নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক—সবার জন্য আইন থাকা সত্ত্বেও তাদের আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সুফল ভোগ করতে না পারার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের উচিত সবাইকে আইন বুঝিয়ে দেওয়া, আইনের সুফল বোঝানো। আর যদি তা না করা হয়, সাধারণ মানুষ সেই তিমিরেই থেকে যাবে।"

নজরুল ইসলাম খান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জবাবদিহিতার বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, "যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে তারা যদি আইন প্রয়োগে কোনো ভুল করে, ইচ্ছাকৃত ভুল এবং তারা যদি অন্যায়ভাবে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জনগণের উপর নিপীড়ন চালায়, তাদের শাস্তির বিধান কোথায়?" পরিশেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য আইন থাকলেও, যারা এসব আইন কার্যকর করবে, সেই ক্ষমতাবানদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন