- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সোমবার (১১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত নবম সভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনী আসনে একক প্রার্থী থাকলে ভোটাররা তাকে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র একক প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য থাকবে, অন্যান্য আসনে কার্যকর হবে না।
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রার্থীকে অবশ্যই নিজ দলের প্রতীকেই ভোট দিতে হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সশস্ত্র বাহিনীও যুক্ত হয়েছে। এর ফলে নির্বাচনকালে ইসি চাইলে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবহার করতে পারবে।
বর্তমান নির্বাচনী নীতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান থাকায় এবার আরপিও থেকে ইভিএম-সংক্রান্ত সব বিধান বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচন চলাকালীন অনিয়ম ধরা পড়লে নির্বাচন কমিশন চাইলে পুরো আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। এছাড়া, নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে। মনোনয়নপত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদানের অপরাধে প্রার্থিতা বাতিলসহ এমপি পদও বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে।
কমিশন সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকতে পারবেন, তবে ভোট গণনা শুরু হলে পুরো সময় উপস্থিত থাকতে হবে এবং মাঝপথে বের হওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশন সংশোধিত আরপিওয়ের প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করে আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন তা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এই সংশোধনীগুলো অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও দায়িত্বশীল করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।