- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী 'কবজিকাটা গ্রুপ'-এর প্রধান সহযোগী ও কিশোর গ্যাং নেতা মো. বাবু খান ওরফে টুন্ডা বাবুকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানিয়েছে, টুন্ডা বাবু মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২-এর পরিচালক মো. খালিদুল হক হাওলাদার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু স্বীকার করেছেন যে তিনি মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী। কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ারের নির্দেশেই তিনি মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, চুরি-ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তা খালিদুল হক হাওলাদার জানান, টুন্ডা বাবু ও তার গ্যাং সাধারণত দিনের বেলায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে পথচারীদের জিম্মি করে টাকা, মুঠোফোন, ল্যাপটপ, ভ্যানিটিব্যাগসহ বিভিন্ন মালপত্র ছিনতাই করতো। রাত গভীর হলে তারা বাসাবাড়ি ও ফ্ল্যাটে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করতো। এছাড়া, তারা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে সবকিছু লুট করতো। তিনি এবং তার গ্যাংয়ের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারেও জড়িত।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলী হাউজিংয়ের ২ নম্বর প্রজেক্টে বাবুকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দুই হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে 'শোডাউন' দিতে দেখা যায়। এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। ওই ঘটনার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব বাবুকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে, গত ৫ মে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেন।
গ্রেপ্তারকৃত বাবুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সম্প্রতি মোহাম্মদপুর এলাকায় র্যাব-২-এর অভিযানে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম এবং কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারকে তাদের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় টুন্ডা বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।