- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ ও প্রশ্ন তোলেন। যুবদলের পাশাপাশি এতে অংশ নেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।
সংবাদ সম্মেলনে মুন্না বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, কারা, কেন এই তিন আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন করে অন্য তিনজনকে আসামি করল? যারা প্রাণঘাতী আঘাতগুলো করেছে, সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে, আশ্চর্যজনকভাবে তাদের মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি। এটি একটি বিরাট রহস্য।’
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার দুই দিন পর অর্থাৎ গত শুক্রবার এটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। এর পেছনে কারা জড়িত, তাও খুঁজে বের করার দাবি জানান এই যুবদল নেতা।
মামলার বিষয়ে মুন্না জানান, লাল চাঁদের বড় বোনের মেয়ে বীথি আক্তার তাদের নিশ্চিত করেছেন যে, পরিবারের দেওয়া তিনজনকে এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে হত্যার ঘটনায় দায় অস্বীকার না করে যুবদল সভাপতি বলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিই। গতকাল এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’ তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘প্রশাসন কি তাদের বিষয়ে যথাযথ আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে? না নিয়ে থাকলে কেন নেয়নি, তা জানতে চাচ্ছি।’
আবদুল মোনায়েম মুন্না দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত একজন নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদপুরেও খুতবা দেওয়ার সময় একজন ইমামের ওপর একই কায়দায় হামলা করা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, রগ কেটে হত্যা করা একটি বিশেষ সংগঠনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক চর্চার অংশ এবং এই দুটি ঘটনায় তারাই জড়িত ছিল।
মুন্না আরও বলেন, বর্তমানে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। তিনি অভিযোগ করেন, একটি সুযোগসন্ধানী বিশেষ গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিলেকটিভ প্রতিবাদ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান প্রমুখ।