- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
গত মে মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে কিছুটা এগিয়েছে। এ সময়ে কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতে দৃশ্যমান উন্নতি হলেও নির্মাণ খাতে অগ্রগতি দেখা যায়নি। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।এমসিসিআইয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক পিএমআই স্কোর এপ্রিলের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮.৯ এ পৌঁছেছে, যা অর্থনীতির দ্রুত সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষ করে কৃষি খাত টানা অষ্টম মাস ধরে সম্প্রসারণমুখী রয়েছে এবং গতিতে বেড়েছে। উৎপাদন খাত টানা নবম মাস দ্রুত সম্প্রসারণ করছে। সেবা খাতও অষ্টম মাস ধরে উন্নতি দেখাচ্ছে এবং গতিশীল হচ্ছে।তবে নির্মাণ খাত গত ছয় মাস ধরে সম্প্রসারণের পথে থাকলেও মে মাসে গতিশীলতার কোনো উন্নতি হয়নি, যা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন ব্যবসা ও কর্মসংস্থান সূচকগুলোতে সংকোচন দেখা দিয়েছে।পলিসি এক্সচেঞ্জের সিইও মাসরুর রিয়াজ বলেন, “রপ্তানি নির্ভর উৎপাদন খাতে গতিশীলতা বজায় থাকায় এবং ঈদ উৎসবের প্রভাব পড়ায় কৃষি ও সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়েছে, যার কারণে দেশের অর্থনীতি দ্রুত সম্প্রসারণের দিকে এগোচ্ছে। তবে নির্মাণ খাতের স্থবিরতা পুরো অর্থনীতির গতিকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, অর্থনীতির এই ধাপে ধাপে উন্নতি দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক সংকেত হলেও নির্মাণ খাতের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান না হলে অর্থনৈতিক গতি আরও বিস্তৃত করতে সমস্যা হতে পারে।বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে রপ্তানি, কৃষি ও সেবা খাতে ভালো ফলাফল প্রদর্শন করলেও নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আরো মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।