- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ডেস্ক রিপোর্ট: লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এক ঘণ্টা পঁইত্রিশ মিনিটের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মুখোমুখি হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। বৈঠক শেষে উভয়পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং আগামী নির্বাচনসহ জাতীয় পুনর্গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়ে শেষ হয় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে। পরে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে তারেক রহমান আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেন, যেটিকে অধ্যাপক ইউনূস ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন। ইউনূস বলেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজানের আগের সপ্তাহেও ভোটগ্রহণ সম্ভব হতে পারে। তবে সে সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারিক অগ্রগতির নিশ্চয়তা দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আমীর খসরু জানান, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং সব পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, “সংস্কার ও জুলাই সনদ—দুটোই হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে। আমরা খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।” তিনি আরও যোগ করেন, “যেখানে ঐকমত্য থাকবে, সেখানে স্বাক্ষর স্বাভাবিক বিষয়।”
নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে সমস্যার প্রশ্নে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো জটিলতা দেখছি না। নির্বাচন কমিশন খুব শিগগিরই একটি তারিখ ঘোষণা করবে।” তিনি আশাবাদী, এই প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষ বঞ্চিত হবে না।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না থাকলেও, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপি নেতা আমীর খসরু ইঙ্গিত দেন যে, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে সবাই একযোগে কাজ করবেন। তাঁর ভাষায়, “নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐকমত্য হয়েছে। এই পথ শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও অব্যাহত থাকবে।”