- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | কুষ্টিয়া:
বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। বিএনপির ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলের অনুসারীদের বাড়িঘর ও স্থানীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে দলটিরই আরেক অংশের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার রাতে এই হামলা চালানো হয় মনোনয়ন পাওয়া দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লার সমর্থকদের নেতৃত্বে। এতে বেশ কয়েকটি কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয় এবং অন্তত তিনজন আহত হন।
ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে দৌলতপুর সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করে যুবদল নেতা শরীফ উদ্দিন জুয়েলের অনুসারীরা। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে থানা বাজার হয়ে সেন্টার মোড়ে সমবেত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই বাচ্চু মোল্লার সমর্থকেরা এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। তারা শরীফ উদ্দিনের অনুসারীদের ওপর কটূক্তি করে স্লোগান দেয় এবং রাতের অন্ধকারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউর রহমান বলেন, “আমার বাড়িতে টানা তিনবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিবারের সবাই ভয়ে আছে। রাজনীতি করতে এসে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে, এটা দুঃখজনক।” তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানান।
অন্যদিকে, বিএনপির প্রার্থী রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লার ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে মনোনয়ন ঘোষণার পর তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দৌলতপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রমাণ মিললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের একটি অংশ মনে করছেন, কেন্দ্রীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব এবং স্থানীয় নেতাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা থেকেই এই সংঘাতের সূত্রপাত। তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন, এই ধরণের সহিংসতা চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।