- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছেন। কয়েক ঘণ্টা আগে একজন বিচারক তাঁকে মুক্তির আদেশ দেন। এই রায়কে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তারা অভিযোগ করে আসছিল যে ট্রাম্প প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনপন্থী এক আন্দোলনকারীকে অবৈধভাবে নিশানা করেছে।
লুইজিয়ানার জেনা শহরের আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়ে খলিল বলেন, "ন্যায়বিচার জয়ী হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনেক দেরিতে। এটা ঘটতে তিন মাস লাগা উচিত ছিল না।"
ইসরায়েলের গাজায় হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সক্রিয় থাকার অভিযোগে গত ৮ মার্চ খলিলকে নিউইয়র্কের ম্যানহ্যাটানে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের লবি থেকে অভিবাসন কর্মকর্তারা আটক করেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বিক্ষোভকে ইহুদিবিদ্বেষ বলে অভিহিত করে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। খলিলকে তাঁর এই নীতির প্রথম শিকার হিসেবে মনে করা হয়।
নিউ জার্সির বিচারক মাইকেল ফারবিয়ার্জ বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি যে খলিল পালিয়ে যাবেন বা জনসাধারণের জন্য হুমকি। বিচারক আরও বলেন, এই মামলায় "আসামিকে শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে অভিবাসন আইন ব্যবহার করা হয়েছে—এমনটা বলার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে," যা সংবিধানবিরোধী।
খলিল হলেন সেই ফিলিস্তিনপন্থী বিদেশি শিক্ষার্থীদের একজন, যাদের গত মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে আদালতের নির্দেশে মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মোহসেন মাহদাভি ও রুমাইসা ওজতুর্কও রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মাহমুদ খলিল মুক্তির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। ২০ জুন, লুইজিয়ানাছবি: রয়টার্স