- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মন্তব্য করেছেন যে, জুলাই সনদ কোনো কবিতা নয়, বরং এটি "আমাদের বাঁচার সনদ।" তিনি এই সনদকে "দ্বিতীয় বাংলাদেশের তফশিল" হিসেবে আখ্যায়িত করে এটি বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছেন।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই সনদের জন্য আগামী ৩ আগস্ট আবারও শহীদ মিনারে সমবেত হবেন তারা। তিনি সতর্ক করে দেন, যদি জুলাই সনদ দেওয়া না হয়, তবে সেদিন "পেছনে ফেরার আর কোনো উপায় থাকবে না।" ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, "এই জুলাই সনদ কিন্তু কোনো কবিতা না, কোনো রাজনৈতিক রেটোরিক না, এটা আমাদের পরবর্তীতে বাঁচার সনদ... তাই জুলাই সনদ দিতেই হবে।"
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "রাজনীতিবিদদের জন্য আমরা রাজনীতি কঠিন করে দেব এবং আমরা সেটা করে দেখিয়েছি।" তিনি সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করার এবং মতপার্থক্যকে গুরুত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, "আমরা দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করব। আমাদের সমাজে অ্যাকসেস থাকবে না শুধুমাত্র ফ্যাসিবাদের, যারা আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করতে চায় তাদের। নিকাব পরার স্বাধীনতাও থাকবে, না পরার স্বাধীনতাও থাকবে।"
গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা জানি আমরা আপনাদের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠতে পারব না। কারণ আমরা এমন একটা সময় এখন রাজনীতিতে করতে আসছি যখন একেকটা ফোন একেকটা মিডিয়া।" তিনি সাম্প্রতিক ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, "গত দু-তিনদিন আগে আমরা মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছি না? এদের হাজার হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের ১২ হাজার টাকার একেকটা মোবাইলের সামনে কিন্তু ওরা দাঁড়াতে পারেনি। ওরা আজকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। আমরা একেকটা মানুষ একেকটা মিডিয়া। আমরা একেকটা মানুষ একেকটা সাংবাদিক।"
পথসভায় এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্মআহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম (যিনি মন্তব্য করেছেন, "শাপলা না হলে ধানের শীষও প্রতীক হতে পারবে না"), যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক মোখলেসুর রহমান সুইট-সহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।