- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে, এবং দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বড় দলগুলোর প্রধানরা কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং কয়টি আসনে প্রার্থী হবেন।
বিশেষ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মানুষের কৌতূহল চরমে। ১৭ বছর পর লন্ডনের নির্বাসন থেকে তার দেশে ফেরার গুঞ্জন চলছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি সরকারের সময় তার ওপর যে নির্যাতন হয়েছিল এবং তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল, সেই প্রেক্ষাপটে এটি তার প্রথম নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। তাই তার সম্ভাব্য আসন ও ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
একইভাবে কৌতূহল রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘিরে। তার শারীরিক অসুস্থতা এবং বর্তমান আইনি পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ কাজ করছে। তার দল বিএনপি এবং সাধারণ ভোটাররা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তার নির্বাচনি অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণার জন্য।
এছাড়াও, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান কয়টি আসনে এবং কোন অঞ্চল থেকে নির্বাচন করছেন, তা নিয়েও কৌতূহলী মানুষ খোঁজ নিচ্ছেন। তার নেতৃত্ব সম্প্রতি সবার নজরে এসেছে এবং তার দলের নির্বাচনি কৌশল নিয়েও আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে, তরুণদের দল ন্যাশনাল কনভারসেশন পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবারের নির্বাচনে কেমন করবেন, তা নিয়েও মানুষের প্রবল আগ্রহ রয়েছে। নতুন প্রজন্মের ভোটাররা তার প্রতি বিশেষ মনোযোগ রাখছেন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও তার দলের সম্ভাব্য পারফরম্যান্স নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা করছেন।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত এবং তাদের নির্বাচনি অংশগ্রহণের বিষয়ে জনগণ আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়গুলোই দেশের রাজনীতিতে মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।