Tuesday, October 14, 2025

জাতীয় ফুল শাপলা প্রতীক পাওয়ার আশায় এনসিপি: ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন


নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের পছন্দের প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল 'শাপলা'কে পাওয়ার আশা করছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল(রবিবার, ২২ জুন ২০২৫) সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল এদিন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কয়েক ডজন নতুন দল আবেদন জমা দিয়েছে। বিকেলে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিও তাদের আবেদনপত্র জমা দেয়।


নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, "আমরা তিনটি মার্কার জন্য আবেদন করেছি। শাপলা, কলম ও মোবাইল। তবে আমাদের প্রথম পছন্দ শাপলা। আমরা আশা করছি যে জনগণের মার্কা হিসেবে, গণ-অভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, সাধারণ গ্রামবাংলার প্রতীক হিসেবে শাপলা মার্কা জাতীয় নাগরিক পার্টি পাবে এবং এই শাপলা মার্কা নিয়েই আমরা আগামী দিনে জনগণের ভেতরে কাজ করব। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।"


নিবন্ধনের জন্য ইসির শর্তের চেয়েও বেশি পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা আশাবাদী, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টি নিবন্ধন পাবে। নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের কাছে যাবে।"


প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ আরও বলেন, "সেখানে আমরা প্রবাসীদের ভোটাধিকার যেকোনো মূল্যে রক্ষা করার কথা বলেছি। কোন প্রক্রিয়ায় প্রবাসী ভোটাধিকারটা নিশ্চিত করা হবে, সে বিষয়ে কমিশন এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে দ্রুত সেটি করা হবে বলে জানিয়েছে।"


শাপলা প্রতীক চাওয়ার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম যুক্তি দেন, "বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের আইনগুলো আমরা পর্যালোচনা করেছি। দেখেছি সে আইনগুলোতে এ ধরনের কোনো বাধা বা নিষেধ নেই। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের মার্কা হিসেবে ইতোমধ্যে রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখিনি বলে আমরা এটিতে আবেদন করেছি। জাতীয় প্রতীকের একটা কথা এসেছে। জাতীয় প্রতীক কিন্তু কেবল শাপলা নয়। শাপলা, দুই পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পাটপাতা ও চারটি তারকা—এগুলো মিলেই কিন্তু জাতীয় প্রতীক। সেক্ষেত্রে আপনারা দেখবেন ধানের শীষ এবং তারকা বা তারা এ দুটিও দুটি দলের মার্কা হিসেবে রয়েছে। ফলে কোনো ধরনের আইনগত সমস্যা আমরা দেখি না।"


নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "আপনারা জানেন যে এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের একটি কার্যক্রম চলছে এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির কাছে কমিটমেন্ট দিয়েছেন যে জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। ফলে আমাদের কাছে এখনো প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে কিন্তু সংস্কার। ফলে সংস্কারের ওপর নির্ভর করেই নির্বাচনের বিষয়ে আমরা আসলে সিদ্ধান্ত নেব। আর এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা বলেছি যে জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, গণপরিষদ ও বিচারের রোডম্যাপ—সবকিছু মিলিয়েই আমাদের এই মুহূর্তের রাজনীতি।"

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ার সময় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শা... প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামছবি: প্রথম আলো

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন