- ২১ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN
জাতীয় নির্বাচন যত দেরিতে হবে, তত বেশি ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে গণ অধিকার পরিষদ। তাই তাদের দাবি, আগামী জানুয়ারি মাসেই দেশের জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা জানিয়েছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ মনে করছে, সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে "পতিত স্বৈরাচারের দোসররা"। এভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে আবারও একটি একতরফা শাসনের সৃষ্টি করার চক্রান্ত চলছে।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “নির্বাচন বানচালের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অগ্নিসংযোগ ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে। তাই আগামী জানুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা আবশ্যক।” তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে।
রাশেদ খান সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের, ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসন পরিবর্তন না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এছাড়া, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কোনো প্রার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান সহ অন্যান্য সদস্যরা।