- ২১ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
মায়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত কেকে পার্ক নামক কুখ্যাত অনলাইন স্ক্যাম সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ২,০০০-এর বেশি মানুষকে আটক করেছে। দেশীয় সংবাদমাধ্যম মায়ানমার আলিন সোমবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদে বলা হয়েছে, কেকে পার্ক আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেট গুলোর একটি বড় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। এখানে অবৈধ জুয়া, অর্থ লন্ডারিং, অনলাইন রোমান্স ও বিনিয়োগ প্রতারণার মতো কার্যক্রম চালানো হতো। অভিযানের সময় সেনারা ৩০টি স্টারলিংক স্যাটেলাইটও জব্দ করেছে, যা বিদ্যুৎ বিভ্রাট সত্ত্বেও ইন্টারনেট সংযোগ বজায় রাখতে ব্যবহৃত হয়।
অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে ১,৬৪৫ জন পুরুষ, ৪৪৫ জন মহিলা এবং ৯৮ জন পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছেন। তবে তাদের জাতীয়তা সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেনি। কেকে পার্ক মায়াওয়াডি টাউনশিপে, থাইল্যান্ডের মায়ে সোট শহরের ঠিক পার্শ্বে অবস্থিত।
মায়ানমারে ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। সামরিক বাহিনী, ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এবং বিভিন্ন ক্যরেন নৃজাতিগত বাহিনী মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত অঞ্চলে সংঘর্ষ দেখা গেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর-জেনারেল জাও মিন টুন জানিয়েছেন, কেকে পার্কে চলমান প্রতারণামূলক কার্যক্রমে ক্যরেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও চীনের চাপের মুখে মায়ানমার এই স্ক্যাম সেন্টারগুলো বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। স্ক্যাম সেন্টারের কর্মীরা প্রায়শই মানবপাচারের শিকার হয়, তাদের চাকরির প্রলোভনে আহ্বান জানানো হয় এবং পরে অনলাইন প্রতারণায় জড়িয়ে ফেলা হয়। থাইল্যান্ডের পুলিশ অনুমান করছে, শুধুমাত্র থাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তের অঞ্চলে প্রায় ১,০০,০০০ মানুষ স্ক্যাম অপারেশনে নিয়োজিত।
গত পাঁচ বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্ক্যাম সেন্টারগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যার কেন্দ্রবিন্দু মূলত মায়ানমার ও কম্বোডিয়ায়। আন্তর্জাতিক অপরাধী গ্রুপগুলো প্রতি বছর এসব কেন্দ্র থেকে বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে।
সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কম্বোডিয়া ও মায়ানমারের ২০টির বেশি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে স্ক্যাম অপারেশনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছে।