Friday, December 5, 2025

জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন সমমনা দলগুলো আসন সমঝোতা নিয়ে কৌশলী অবস্থানে


ছবিঃ জামায়াতে ইসলামী (সংগৃহীত)

স্টাফ রিপোর্ট: PNN 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেনি। দলটি কৌশলী অবস্থান গ্রহণ করে সমমনা সাতটি দলকে নিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছে এবং নির্বাচনী কৌশল সাজাচ্ছে। একই সঙ্গে ‘এক আসনে এক প্রার্থী’ নীতির ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে জরিপ চালানো হচ্ছে, যা থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

জামায়াতসহ আট দল এখনো জোট না করে নির্বাচনী সমঝোতার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে চায়। দলগুলোর নেতারা মনে করছেন, এটি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ স্পষ্ট হবে। তফসিল ঘোষণার পরও সমঝোতা কৌশলের কাজ চলমান থাকবে। দলের বাইরে অন্য প্রভাবশালী বা মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীর সঙ্গে অঘোষিত সমঝোতাও হতে পারে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ প্রথম আলোকে বলেন, “সমমনা আট দলের সঙ্গে আরও দল যুক্ত হতে পারে। আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে চমক দেখা যেতে পারে।” দলের আমির শফিকুর রহমানও সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রচলিত কোনো জোট করব না। তবে অনেকগুলো দল ও শক্তির সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী সমঝোতা থাকবে।”

সূত্র জানায়, জামায়াতসহ আট দলের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি, গণ অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দলকে পাশে পেতে চাওয়া হচ্ছে। এই সমঝোতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক সমঝোতা নয়, মাঠে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই করে মনোনয়ন বা আসন ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী জানান, জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য ৩০০টি আসনে জরিপ চলছে, যা নভেম্বরের মধ্যে শেষ হতে পারে।

তফসিল ঘোষণার আগে সমঝোতা চূড়ান্ত করার লক্ষ্য থাকলেও দুই কারণে সময় নেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, আট দলের বাইরে যে কিছু দলের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে, তাদের সঙ্গে সমঝোতা নিশ্চিত করতে সময় লাগছে। দ্বিতীয়ত, সমঝোতা ঘোষণা করার পর দলগুলোর মধ্যে অন্য পক্ষের প্ররোচনায় সংকট সৃষ্টি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে জামায়াত।

এদিকে বিএনপিও নির্বাচনী মিত্র বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোতে নজর রয়েছে, এবং হেফাজতের একাংশের সঙ্গে কিছু বোঝাপড়াও তৈরি হয়েছে। এছাড়া জামায়াত প্রার্থীদের জন্য অন্যান্য পেশার মানুষেরও সমর্থন নিতে পারে।

জামায়াত প্রশাসনিক বিষয়েও নজর রাখছে। দলটি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনে ভারসাম্য রাখতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রস্তাবনা দিয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে দল দেশের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার বিষয়ে তাদের অবস্থান প্রকাশ করবে।

রাজনীতি–সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সব কৌশল দ্বারা জামায়াত সরকারের ওপর চাপ তৈরি করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাচ্ছে। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য বিভাগে ৩০ নভেম্বর থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে ৬ ডিসেম্বর সিলেটে শেষ হবে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন