- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি বুধবার শেষ হয়েছে। রায়ের জন্য আদালত আগামী ২ সেপ্টেম্বরের দিন ধার্য করেছেন। শুনানি শেষে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।
বিদ্যমান সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে এটি প্রয়োগ করেন। তবে ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা এবং সংবিধানের এই ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ২৫ আগস্ট সাতজন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে রিট করেন। রিটে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
হাইকোর্ট রুলে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জবাব দিতে বলা হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূইয়াকে নিয়োগ দেয়। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিচারপতি আহমেদ সোহেলের নেতৃত্বে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়।
শুনানিতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদি হাসান উপস্থিত ছিলেন।
রিট থেকে জানা যায়, ১৯৭২ সালের সংবিধানে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের ওপর ছিল। ১৯৭৪ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী, এবং পরে পঞ্চম ও পঞ্চদশ সংশোধনী দ্বারা রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধান যুক্ত ও পুনঃপ্রতিস্থাপন করা হয়।
এই রিটের রায় দেশের বিচারব্যবস্থার শৃঙ্খলা ও স্বায়ত্তশাসনের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।