- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজার নির্ধারিত সীমারেখার পেছনে তাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল থেকে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবার উত্তর দিকে ফেরত যাত্রা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদিত যুদ্ধবিরতির “প্রথম ধাপ” অনুযায়ী, বন্দি বিনিময় ও আংশিক সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এই সমঝোতা দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সর্বশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা (জিএমটি ০৯:০০) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড এখন “চুক্তির সীমারেখা অনুযায়ী অবস্থান” নিয়েছে এবং তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও আশ্রয় সামগ্রী জাতিসংঘ ও অনুমোদিত সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে গাজায় প্রবেশ করবে। একই সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে মিশরে আশ্রয় নেওয়া গাজার বাসিন্দারা আবার নিজ ভূমিতে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন।
এদিকে, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে জার্মানি গাজা পুনর্গঠনে ২৯ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩৪ মিলিয়ন ডলার) সহায়তা ঘোষণা করেছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ জানিয়েছেন, “গাজার পুনর্গঠন ও মানবিক সহায়তার জন্য জার্মানি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।”
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়া গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলি জিমন্যাস্টদের জন্য ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক বা ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট কোনো সম্পর্ক রাখবে না।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজার শিশুদের মনে রয়ে গেছে ভয় ও ক্ষতির গভীর ছাপ। স্থানীয় সহায়তা সংস্থাগুলোর ভাষ্য, বোমা ও বন্দুকের শব্দে বেড়ে ওঠা এই শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক পুনর্বাসনে দীর্ঘ সময় লাগবে।