- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স—ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এমন ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৫ জুলাই) ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্তকে “সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার সামিল” বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যে বর্বর হামলা চালিয়েছিল, তার পর এই সিদ্ধান্ত আসলে সন্ত্রাসবাদের প্রতি এক ধরনের পুরস্কার।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফরাসি প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে “বেপরোয়া” বলে আখ্যা দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “এটি হামাসের প্রচারণায় সহায়তা করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘ করবে। এই সিদ্ধান্ত ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহতদের প্রতি একপ্রকার চপেটাঘাত।”
তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ স্পষ্ট ভাষায় জানান, তার দেশের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি থেকেই এসেছে। তিনি এক্স-এ লিখেন, “আজকের জরুরি প্রয়োজন হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান, বেসামরিক জনগণকে উদ্ধার, সব জিম্মির মুক্তি এবং গাজার জনগণের জন্য ব্যাপক মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা। শান্তি সম্ভব।”
তিনি আরও লেখেন, “আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শান্তির জন্য ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। সেই কারণেই ফ্রান্স জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে।”
ফরাসি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, এই স্বীকৃতি শুধু কূটনৈতিক অগ্রগতিই নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে।
বিশ্ব রাজনীতিতে ফ্রান্সের এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে একটি বড় কূটনৈতিক মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একইসঙ্গে, এটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের ভেতরে মতবিরোধেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে। লী।