- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
বাংলাদেশে চলতি বছর কেউটের কামড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিসংখ্যানে জানুয়ারি থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি—৭৬ জন—রোগী কেউটের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে রাসেলস ভাইপার কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন এবং কোবরা কামড়ে ৪৯ জন। মারা গেছেন কেউটের কামড়ে সর্বোচ্চ ১৭ জন, রাসেলস ভাইপারে ১০ জন এবং কোবরা কামড়ে ৫ জন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মে থেকে এ পর্যন্ত কেউটে কাটা চারজন রোগী ভর্তি হয়েছেন, এদের মধ্যে তিনজনই সন্দ্বীপ থেকে। বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৯০ প্রজাতির সাপ রয়েছে, তার মধ্যে সাত থেকে আট প্রজাতি সবচেয়ে বিষধর। কেউট অন্যতম। দেশে বেশি দেখা যায় পাতি কেউটের প্রজাতি, যা ৩ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং কালো বা নীলচে কালো রঙের।
কেউট নিশাচর সাপ; দিনের বেলায় ঝোপঝাড় বা অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে, রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয় এবং ঘরবাড়িতেও ঢুকে মানুষের বিছানায় পর্যন্ত আসে। কামড় দিলে ২০ মিলিগ্রাম নিউরোটক্সিন বিষ দেহে প্রবেশ করতে পারে, যা মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। বিষ মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে, হাত-পা অবশ করে এবং শ্বাসনালীকে বাধাগ্রস্ত করে। প্রথম কয়েক ঘণ্টা লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে, তবে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গে তীব্র ব্যথা দেখা দেয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শাহীন জানিয়েছেন, কেউটের কামড় থেকে রক্ষা পেতে রাতের ঘুমে মশারি ব্যবহার করতে হবে এবং সাপে কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। বর্ষা ও শরতের সময় কেউট বেশি সক্রিয় হওয়ায় বিশেষ সতর্কতা জরুরি।