- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে, যদিও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় আইইডিসিআর-এর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, "একটি বেসরকারি ল্যাবের পরীক্ষায় গতকাল (সোমবার) রাতে দুজনের শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আমরা বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানিয়েছি, এখন তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।"
জানা গেছে, আক্রান্ত দুজনই ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে—একজন পুরুষ ও একজন নারী। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়ালিউল্লাহ এবং ডা. মো. নুরুন্নবী তাদের নিজস্ব চেম্বারে রোগীদের দেখে পরীক্ষার জন্য 'এপিক হেলথ কেয়ার'-এ পাঠান। সেখানেই জিকার উপস্থিতি ধরা পড়ে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, "একই কীটে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। উপসর্গ অনুযায়ী পরীক্ষার পর জিকা পজিটিভ এসেছে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা আইইডিসিআর থেকেই আসবে। তারা চাইলে আবারও নমুনা পরীক্ষা করতে পারে, নতুবা এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারে।"
চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, র্যাশ, ব্যথা ও হাত-পা ফোলার মতো উপসর্গ দেখা গেছে। জিকা ভাইরাসে সাধারণত প্রাণহানির আশঙ্কা কম থাকলেও এটি গর্ভবতী নারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গর্ভবতী নারী আক্রান্ত হলে এতে গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন আরও জানান, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা—এই তিনটি ভাইরাসই এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এদিকে, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম আরও জানিয়েছেন যে, চট্টগ্রামে ৩০ জন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীও শনাক্ত হয়েছেন।