চাল সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর হবে সরকার খাদ্য উপদেষ্টা

চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বোরো ধানের বাম্পার ফলনের কারণে চালের দাম শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

আজ দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে খুলনা বিভাগের দশ জেলার খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য উপদেষ্টা জানান, দেশের বর্তমান খাদ্য মজুত অত্যন্ত সন্তোষজনক। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

বাজারে চালের দাম কেন কমছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, যদি বর্তমান খাদ্য মজুতের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তাহলে শিগগিরই চালের বাজার সহনীয় হয়ে উঠবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোনো সিন্ডিকেট দাম বাড়ানোর পেছনে কাজ করে, তাহলে সরকার তা ভেঙে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে, তিনি এও উল্লেখ করেন যে, দাম এমনভাবে কমানো যাবে না যাতে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

খাদ্য উপদেষ্টা আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষ বেশি হওয়ায় ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলা উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।