- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের নতুন পরিকল্পনাকে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান এই পরিকল্পনা ও তথাকথিত ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাকে নিন্দা জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফকত আলী খান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের এমন বক্তব্য ও পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উসকানিমূলক এ পরিকল্পনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
এই প্রতিক্রিয়া আসে ইসরায়েলের কট্টর-ডানপন্থী মন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচের ঘোষণার পর, যেখানে তিনি পূর্ব জেরুজালেমের কাছে দীর্ঘদিন আটকে থাকা বসতি নির্মাণ প্রকল্প শুরুর কথা বলেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পশ্চিম তীর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং কার্যত পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা ‘দাফন’ হবে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি অবৈধ। প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রস্তাবিত এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পশ্চিম তীর একাধিক বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাবে, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করবে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ও দক্ষিণ সুদান গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ওই আফ্রিকান দেশে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। যদিও ফিলিস্তিনি নেতারা একে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে নিন্দা জানিয়েছেন। দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগেই এই ধরনের খবর ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
আরব ও আন্তর্জাতিক মহলও গাজার জনগণকে অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়ার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফিলিস্তিনিদের মতে, এটি ১৯৪৮ সালের নাকবার মতোই আরেকটি জোরপূর্বক উচ্ছেদ হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, মে মাসের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে কমপক্ষে ১,৭৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে। শুক্রবার গাজার সিভিল ডিফেন্স জানায়, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২ জন মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।