- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
ভারতের চলচ্চিত্র জগতের এক অন্যতম সুপরিচিত মুখ, বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধরমেন্দ্র সোমবার মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ধরমেন্দ্র। কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে যাতায়াত করছিলেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি ধরমেন্দ্রের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন, অনামধন্যতার শর্তে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “তিনি একজন আইকনিক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন, অসাধারণ অভিনেতা যিনি প্রতিটি চরিত্রে জাদুকরী আবেগ ও শক্তি এনেছেন। তার বহুমুখী অভিনয় অনন্য এবং অনেকে তার অভিনয়কে হৃদয়ে ধারণ করেছে।”
ধরমেন্দ্রকে প্রায়শই বলিউডের “হি-ম্যান” বলা হতো। তিনি একদিকে অ্যাকশন স্টার হিসেবে শক্তিশালী হিরো চরিত্রে দর্শকদের মাতিয়ে তুলতেন, অন্যদিকে রোমান্টিক চরিত্রে কোমলতা ও আবেগ দেখিয়ে সকলের মন জয় করতেন।
১৯৭৫ সালের “শোলাই” চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকদের মনে অমলিন। এই চলচ্চিত্রে তিনি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন, যা বলিউডের এক অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হিসেবে স্মরণীয়।
অভিনয়ের পাশাপাশি ধরমেন্দ্রের ব্যক্তিগত জীবনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। চলচ্চিত্রে হেমা মালিনির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার পর তিনি ১৯৮০ সালে হেমার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর আগে তিনি প্রাকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদের চার সন্তান রয়েছে, যাদের মধ্যে সানি দেওল ও ববি দেওল বলিউডে তার পথ অনুসরণ করেছেন।
ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ধরমেন্দ্র চরিত্রাভিনয় ও পিতৃপরিষদ চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। ২০২৫ সালে শেষবার তিনি “ইক্কিস” যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৩৫ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ধরমেন্দ্র কেভাল কিশন দেওল। ১৯৬০ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে তাঁর। ষাটের দশক থেকে শুরু করে ছয় দশক ধরে তিনি ৩০০-এরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ধরমেন্দ্রকে তার স্ত্রী, সন্তান ও নাতি-নাতনিরা জীবিত রেখেছেন। তাঁর প্রয়াণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এক যুগের শেষ এবং অনন্ত স্মৃতির অংশ হয়ে থাকবে।