- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সংস্কারবিরোধী বক্তব্য দেওয়া হয়নি। বরং, বর্তমান সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে, তার অনেক দিক বিএনপির ৩১ দফা দাবির মধ্যে প্রতিফলিত রয়েছে। তিনি বলেন, “জুলাই সনদের অনেক বিষয়ই বিএনপি গ্রহণ করেছে, কিন্তু সেটিকে মূলনীতির মধ্যে নিতে হবে কেন?” শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুসের রোগমুক্তি কামনায় দুঃস্থদের মাঝে জায়নামাজ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, “সংস্কার কোনো স্থির বিষয় নয়, এটি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। সমাজ এবং রাষ্ট্রে যখন প্রয়োজন হবে, তখনই গণতন্ত্র ও জনগণের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করে সংস্কার করা হবে। এটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের নিয়ম।” তিনি বর্তমান সময়ে সংস্কারকে আগে থেকে নির্দিষ্ট কোনো মূলনীতির মধ্যে বাধ্য করার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং বলেন, এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে মানবিক সাম্য, ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসনের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে জানিয়ে রিজভী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে জনগণই তাদের সরকার ও দেশের মালিকানা ফিরে পাবে। যদি মালিকানা আটকে রাখা হয়, তাহলে সেটা ফ্যাসিবাদের বিকাশ ঘটায়।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে সকল পদে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, কিন্তু এখন সেই জবাবদিহিতা পুরোপুরি নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও আমরা জনসমর্থিত মনে করি, কারণ বর্তমান সরকারকে শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের কিছু দোসর ছাড়া সবাই সমর্থন করেছে।”
রিজভী দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আজকাল অসংখ্য গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ কর্মহীন হচ্ছে। মানুষ যদি খাবার কিনতে না পারে, তাহলে দুর্ভিক্ষের আলামত সৃষ্টি হবে। আর এই দুর্ভিক্ষের মধ্যে কেউ রেহাই পাবে না, বরং পতিত ফ্যাসিস্টরা হাততালি দেবে।”
এ সময় বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যেমন যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম ও মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।