Friday, October 24, 2025

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৫ সেনা কর্মকর্তার আত্মসমর্পণ, আসামিপক্ষের আইনজীবীর নির্দোষ দাবি


ছবিঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। (সংগৃহীত)

স্টাফ রিপোর্টার | PNN: 

বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হাজির করা হয়, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের মধ্যে এক সৈন্য ও এক নাগরিকের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং এই ঘটনায় আসামিপক্ষের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন দাবি করেছেন, এই সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ। তিনি বলেন, এই মামলার মূল অপরাধীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন।

আইনজীবী সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, "এই ১৫ জন কর্মকর্তা আইন অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা উচ্চপদস্থ, অভিজ্ঞ এবং তারা বিশ্বাস করেন যে, আদালত তাদের ন্যায়বিচার প্রদান করবে।"

এছাড়া তিনি আরও বলেন, "যদিও প্রসিকিউশন বলছে যে, সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে, কিন্তু তারা নিজেই পুলিশ মারফত আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।"

সরোয়ার হোসেন আরো দাবি করেন, "এই সেনা কর্মকর্তারা সবাই অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং তারা ভবিষ্যতে আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। মূল অপরাধীরা এখন ভারতে পালিয়ে গেছেন, তাদের নাম হলো—জেনারেল কবির, জেনারেল আকবর, জেনারেল তারিক সিদ্দিকী এবং জেনারেল মুজিব।"

এর আগে, ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, যারা গুম, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত। একই দিনে এসব অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ১৫ জন কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

এই মামলায় সরকারপন্থী ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে, এর মধ্যে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, "সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।"

আত্মসমর্পণকারী ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন