- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বহুল প্রতীক্ষিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঐতিহাসিক বৈঠক শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টা) আলাস্কার এক নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এ বৈঠক শুরু হয় বলে জানাগেছে ।
সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানই এ বৈঠকের মূল লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। অপরদিকে রাশিয়ার পক্ষে উপস্থিত রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
বৈঠকের আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় আলাস্কায় অবতরণ করে ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান। কিছুক্ষণ পর পুতিনের বিশেষ বিমানও পৌঁছায়। লালগালিচায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে করমর্দনের মাধ্যমে দুই নেতা বৈঠকের সূচনা করেন। এটি ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, বৈঠকটি অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা চলতে পারে। মস্কো আশা করছে, এটি হবে “ফলপ্রসূ”।
বৈঠকের সফলতা কীসের ওপর নির্ভর করছে—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ দেখতে চাই। আজকেই যদি যুদ্ধবিরতি না হয়, আমি খুশি হব না। আমি হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চাই।”
ট্রাম্প বারবার ইউক্রেন যুদ্ধকে “রক্তপাতপূর্ণ সংকট” বলে উল্লেখ করেছেন। তার লক্ষ্য, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বশান্তির দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই বৈঠক সফল হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হতে পারে।