- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিভিন্ন অনিয়ম ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দুই শিক্ষক ও দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এক কর্মকর্তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আটজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ফেলোশিপ প্রদান, কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন, নতুন ফটক নির্মাণ, অ্যাক্রেডিটেশন রিসার্চ সেল চালু এবং অনুমোদনহীন ফেসবুক পেইজ বন্ধসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
রিজেন্ট বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও অসংগঠিত আচরণ করেছেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অছিকুর রহমানকেও অনুমতিবিহীন বিদেশে পোস্টডক করতে যাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত (পিএনডি) দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ ও ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিউল আলমকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে হেলালুল ইসলামকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে।
ছাত্রদের শাস্তিও নেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় চারজন ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লিফট অপারেটর পদে চাকরি প্রার্থীর অপহরণ মামলার ঘটনায় চারজন শিক্ষার্থীকে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
সভায় রিসার্চ ফেলোশিপ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই বছরের মাস্টার্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ১২–১৮ মাস পর্যন্ত মাসে ২,৫০০–৩,০০০ টাকা ফেলোশিপ পাবেন। ফেলোশিপ পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে একটি প্রকাশনা প্রকাশের শর্ত রয়েছে।
এছাড়াও অ্যাক্রেডিটেশন রিসার্চ সেল ও ইনোভেশন-স্টার্টআপ সাপোর্ট সেল চালু, কর্মকর্তাদের তিনটি ও কর্মচারীদের চারটি আপগ্রেডেশনের সুপারিশ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতিহীন ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রিজেন্ট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা রক্ষা, অনিয়ম দূরীকরণ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।