- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের মধ্যে চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে চালু হওয়া চ্যাটজিপিটির আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক ভোক্তা ব্যয় দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে পৌঁছেছে—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যাপ ইন্টেলিজেন্স প্রতিষ্ঠান অ্যাপফিগারস।
তুলনামূলকভাবে, ক্লড, কপাইলট এবং গ্রোকের মোট আয় চ্যাটজিপিটির এই অর্জনের মাত্র এক-তিরিশ ভাগ। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চ্যাটজিপিটির মোবাইল অ্যাপ থেকে আয় হয়েছে এক দশমিক তিন পাঁচ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের একশো চুয়াত্তর মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ছয়শো তিয়াত্তর শতাংশ বৃদ্ধি। প্রতি মাসে গড় আয় প্রায় একশো তিরানব্বই মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালে পঁচিশ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ব্যাপক বৃদ্ধি।
অ্যাপের প্রতি ডাউনলোডের গড় আয়ও চ্যাটজিপিটির জন্য উল্লেখযোগ্য। বৈশ্বিকভাবে প্রতি ডাউনলোডে আয় দুই দশমিক একানব্বই ডলার, যেখানে ক্লডের জন্য দুই দশমিক পঞ্চান্ন ডলার, গ্রোকের জন্য শূন্য দশমিক পঁচাত্তর ডলার এবং কপাইলটের জন্য শূন্য দশমিক আঠাশ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ডাউনলোডের আয় আরও বেশি—দশ ডলার—যা মোট আয়ের আটত্রিশ শতাংশ দখল করছে। জার্মানি দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার, যা মোট আয়ের পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ প্রদান করছে।
ডাউনলোডের সংখ্যা বিবেচনায় চ্যাটজিপিটির নেতৃত্ব আরও সুস্পষ্ট। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত অ্যাপটি ছয়শো নব্বই মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে, যেখানে গ্রোকের ডাউনলোড মাত্র উনচল্লিশ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন। ২০২৫ সালে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ ইতিমধ্যেই তিনশো আঠারো মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দুই দশমিক আট গুণ বেশি। দেশের ভিত্তিতে ডাউনলোডের শীর্ষস্থান ভারত, যা মোট ডাউনলোডের তেরো দশমিক সাত শতাংশ দখল করেছে, তারপরে যুক্তরাষ্ট্র দশ দশমিক তিন শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, চ্যাটজিপিটি মোবাইল ডিভাইসে অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত চ্যাটবটের তুলনায় এখনও ব্যাপকভাবে এগিয়ে রয়েছে, যদিও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের মাধ্যমে আয়ও কোম্পানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা মূলত মোবাইল অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমেই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহকারী অ্যাপগুলো খুঁজে বের করছেন ও সাবস্ক্রিপশন নিচ্ছেন।
চ্যাটজিপিটির এই আধিপত্য দেখাচ্ছে যে, মোবাইলের বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাপগুলোর প্রতিযোগিতা এখনও তীব্র হলেও, চ্যাটজিপিটি শীর্ষে থেকে ব্যবহারকারীর আস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে।