- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানরত তিন নভোচারীর জরুরি ফেরার পথ নিশ্চিত করতে চীন দ্রুত মানববিহীন মহাকাশযান শেনঝো–২২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ–২এফ রকেটে করে মহাকাশযানটি মহাশূন্যে পাঠানো হয়।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানায়, শেনঝো–২২ মূলত ২০২৬ সালে মানববাহী মিশন হিসেবে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা ছিল। তবে তিয়ানগং স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত শেনঝো–২০ মহাকাশযানটি মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নভোচারী ফেরানোর জন্য তা অনিরাপদ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই মিশনটি দ্রুত এগিয়ে আনা হয়।
গত এপ্রিল থেকে ছয় মাসের মিশনে থাকা তিন তাইকোনাট ঝাং লু, উ ফেই এবং ঝাং হংঝাং বর্তমানে তিয়ানগং স্টেশনে আছেন। শেনঝো–২০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং শেনঝো–২১ আগের ক্রুদের ফেরত পাঠাতে ব্যবহৃত হওয়ায় তাদের কাছে জরুরি ফিরতি যানের আর কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
এই মানববিহীন শেনঝো–২২ই এখন জরুরি পরিস্থিতিতে নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরার একমাত্র বিকল্প হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে চীনা মহাকাশ কর্তৃপক্ষ। চীনা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, স্টেশনে থাকা তিন নভোচারী “সম্পূর্ণ স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন”।
সম্প্রতি বছরগুলোতে চীনের মহাকাশ কর্মসূচি ধারাবাহিক সাফল্য দেখালেও এ ঘটনাটি একটি বিরল বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে এবং এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পর ২০২২ সালে চীন মানববাহী মহাকাশ মিশন পরিচালনা করে নিজস্ব সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে।
বিশ্লেষকদের মতে, শেনঝো–২২–এর জরুরি উৎক্ষেপণ চীনের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো ও মহাকাশ মিশনের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার প্রমাণ বহন করে।