- ২১ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে শিশুখাদ্য আমদানির সময় এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) মার্জিন আর নির্দিষ্ট হারে বাধ্যতামূলক থাকবে না; বরং তা নির্ধারিত হবে ব্যাংক ও আমদানিকারকের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পূর্বে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক শিশুখাদ্য আমদানিকেও ভুলবশত ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিনের আওতায় ফেলেছিল, যা ব্যবসায়ীদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করেছিল। নতুন সিদ্ধান্তে সেই জটিলতা দূর হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিশুখাদ্য একটি অপরিহার্য পণ্য, বিশেষ করে শিশু পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক। তাই এই পণ্যকে অন্যান্য বিলাসপণ্যের সঙ্গে একই শ্রেণিতে ফেলা যৌক্তিক নয়।
এর আগে ২০২২ সালের নির্দেশনায়, ব্যাংকগুলোকে কিছু অপ্রয়োজনীয় বা বিলাসপণ্যের এলসি খুলতে শতভাগ নগদ মার্জিন বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই তালিকায় ছিল টিনজাত খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি ও কোমল পানীয়সহ প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য।
কিন্তু সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, কিছু ব্যাংক শিশুখাদ্যকেও একই তালিকায় যুক্ত করে ফেলেছে। এ অবস্থায় আমদানিকারকদের অভিযোগ ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে শিশুখাদ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে এবং অপ্রয়োজনে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও কমবে।
এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপ ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এতে আমদানিকারকেরা সহজে এলসি খুলতে পারবেন, ফলে বাজারে শিশুখাদ্যের সংকট বা মূল্য অস্থিরতার সম্ভাবনা থাকবে না।”
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ভবিষ্যতে শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলো নিজেদের বিবেচনা অনুযায়ী নিতে পারবে।