- ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN
ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে একটি সাইনবোর্ডে “আই লাভ মুহাম্মদ” লেখা দেখা যায়, যা মুসলিমদের পবিত্র মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। সাইনবোর্ডে "লাভ" শব্দের পরিবর্তে একটি লাল হৃদয় চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। তবে, সাইনবোর্ডটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন হিন্দু পুরুষ তার প্রতিবাদ জানায়, এবং পুলিশের উপস্থিতিতে সাইনবোর্ডটি রাতেই সরিয়ে ফেলা হয়।
এই ঘটনা পরবর্তী সময়ে ১০ সেপ্টেম্বর, পুলিশ সাইয়েদ নগরের ৯ মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে "কমিউনাল হারমনি বিঘ্নিত করা" এবং "নতুন রীতি শুরু করা" অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এতে কোনো গ্রেপ্তার না হলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় আন্দোলনের ডাক দেয় ইসলামী নেতা মাওলানা তাওকির রজা খান, যিনি ২৬ সেপ্টেম্বর তার সমর্থকদের প্রতিবাদে আহ্বান জানান। বেলিরে, প্রতিবাদ শুরু হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে এবং খানসহ বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ভাংচুর এবং পুলিশের ওপর পাথর ছোড়ার অভিযোগ তোলে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই প্রতিবাদকে "সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি" হিসেবে মন্তব্য করেন এবং অনেক মুসলিম সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। এমনকি, সেখানকার এক অভিযুক্ত ব্যক্তির বাণিজ্যিক স্থাপনাও গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধর্মীয় অধিকার এবং সংবিধান অনুযায়ী, মুসলিম সম্প্রদায় স্লোগান দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার রাখে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করেছে। তবে, সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকারের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য করা হয়েছে, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ভয় এবং ঘৃণা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, এই পরিস্থিতির মধ্যে, বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলো ভারত সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে এই ধরনের বৈষম্যমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।