- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | রাজশাহী :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন প্যানেল তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়–সংক্রান্ত বিশ্লেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ ইশতেহার রাকসুর গঠনতন্ত্রের বাইরে এবং বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
১৬ অক্টোবর রাকসু, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ১০টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদসহ কয়েকটি প্যানেল ইতোমধ্যেই ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তবে বেশিরভাগ ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা ভিপির অনুমোদন ছাড়া কার্যকর করা সম্ভব নয় এমন প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে।
শিবির–সমর্থিত প্যানেল গ্রন্থাগার সম্প্রসারণ, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ই-কার চালু ও নারীদের জন্য আলাদা মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, নতুন হল নির্মাণ এবং চিকিৎসা কেন্দ্র আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি রেখেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ইশতেহারগুলোকে বাস্তবসম্মত মনে করছেন না। ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা বলেন, “রাকসুর তহবিল ও ক্ষমতা সীমিত। প্রার্থীদের অনেক ইশতেহার বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এগুলো মূলত ভোটার আকৃষ্ট করার কৌশল।”
নির্বাচনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও উঠেছে। ছাত্রদল–শিবির একে অপরের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেন, খাবার বিতরণ ও বিশেষ উপহার প্রদানের অভিযোগ করেছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ইশতেহারগুলো মূলত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রভাব বাড়ানোর প্রচেষ্টা।