- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ক্রমশ প্রকট আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকা উচিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগেই এই অনুপাতে শিক্ষক নেই। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা গুণগত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং সেশনজটের শঙ্কা বাড়ছে।
রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মোট ১০,৮০৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ২০ শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৪০ জন শিক্ষক থাকা উচিত। বাস্তবে, বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২২০ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অনেকে শিক্ষাঅবকাশে আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের মধ্যে অধিকাংশ বিভাগেই শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাত্র ২ জন, ইতিহাস, পরিসংখ্যান, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে ৩ জন, এবং সমাজবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান ও মার্কেটিং বিভাগে ৪ জন শিক্ষক নিয়মিত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। প্রতিটি বিভাগে ২৫০-৩০০ জন শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও স্বল্প সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জনি বলেন, “বিভাগে শুরুতে চারজন শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে মাত্র দুইজন শিক্ষক রয়েছে। বিবিএ ও এমবিএ পাঠ্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষক সংকটের কারণে সময়মতো পরামর্শও নিতে পারছেন না।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, “জনবল সংকটের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে এবং কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি পাইনি। অনুমতি পেলেই আমরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব।”
ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান বলেন, “শীঘ্রই জনবল সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”